ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়া ভারতের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শুরুটাও ভালো হলো না। পার্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হয়েছে জাসপ্রীত বুমরাহর দল।টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি ভারত। জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স এবং মিচেল স্টার্কদের তোপে দুই সেশনের আগেই অলআউট হয়েছে ভারতীয়রা। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন ৮ নম্বরে নামা নিতিশ কুমার রেড্ডি।
দুই অভিষিক্ত খেলোয়াড় হারশিত রানা এবং নিতিশকে নিয়ে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের আপদকালীন অধিনায়ক বুমরাহ। তবে অধিনায়কের সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে পারেননি ভারতীয় ব্যাটাররা। দিনের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে স্টার্কের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। স্কোরবোর্ডে ১৪ রান উঠতে ফেরেন তিনে নামা দেবদূত পাড়িকেলও।
বাজে ফর্ম থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি বিরাট কোহলিও। দলের বিপর্যয়ের সময় কেবল ৫ রান করে ফিরেছেন তারকা এই ব্যাটার। হ্যাজলউডের চতুর্থ স্টাম্পে রাখা শর্ট ডেলিভারি কোহলির ব্যাটের কোণায় লেগে ধরা পড়ে স্লিপে। এই নিয়ে টানা পাঁচ ইনিংসে ২০ রানের কমে আউট হলেন কোহলি। সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল ৭ বছর আগে।এক প্রান্তে যাওয়া-আসার মিছিল চললেও নিজের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন লোকেশ রাহুল। তবে তাকেও দাঁড়াতে দেননি স্টার্ক। রিভিউ নিয়ে তাকে কট বাহাইন্ডে আউট করেন এই পেসার। ৭৪ বলে ২৬ রান করে আউট হন রাহুল।
মধ্যাহ্ণবিরতির পরেও ভারতের অবস্থার কোনো পরিবর্তন আসেনি। লাঞ্চের পর তৃতীয় ওভারে মিচেল মার্শের শিকার হয়ে ফেরেন ধ্রুব জুরেল। ওয়াশিংটন সুন্দরও ফেরেন দ্রুত। তাকেও ফেরান মার্শ।
৭৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর খানিকটা লড়াই করেন রিশভ পন্ত এবং নিতিশ। দুজনে মিলে গরেন ৪৮ রানের জুটি। ৩৭ রান করা পন্তকে ফিরিয়ে ভারতকে আরও বিপদে ফেলেন প্যাট কামিন্স।
নিতিশ রানা এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করে গেলেও টেইলেন্ডারের কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারছিলেন না। বুমরাহ এবং হারশিত আউট হন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে গিয়ে। শেষদিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন নিতিশও। আর সেটা করতে গিয়েই কামিন্সের বলে ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয় তাকে। ১৫০ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন হ্যাজেলউড। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক, কামিন্স এবং মার্শ।